ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে যাত্রীবোঝাই লঞ্চে আগুনের ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা করেছেন এক গ্রামপুলিশ সদস্য।
শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি খলিলুর রহমান বলেন, সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকার সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় পোনাবালিয়া গ্রামের গ্রামপুলিশ জাহাঙ্গীর হোসেন মামলা করেছেন।
তিনতলা লঞ্চটি এখন ঝালকাঠির দিয়াকুল এলাকায় সুগন্ধা নদীর তীরে ভেড়ানো রয়েছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি আগুনে পুড়ে যাওয়া লঞ্চ পরিদর্শনে যায় সকালে।
জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানিয়েছেন, ঝালকাঠি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি লঞ্চের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজ ৫১ জনের একটি তালিকা তৈরি করেছে।
জানা যায়, ডুবুরিদল নিখোঁজ যাত্রীদের খুঁজে বের করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তাদের সঙ্গে নদীতে নৌকা নিয়ে খোঁজ চালাচ্ছেন নিখোঁজদের স্বজনরাও।
ঢাকা থেকে বরগুনার বেতাগীর দিকে রওনা দেয় এমভি অভিযান-১০ লঞ্চ। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে থাকা অবস্থায় লঞ্চটিতে আগুন লাগে। এতে অন্তত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ৩৩ জনের লাশ বরগুনায় দাফন করা হয়েছে।
কেবিন বয় ইয়াসিন জানিয়েছেন, ইঞ্জিনরুমের পাশের ক্যানটিনের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে পুরো লঞ্চে আগুন লেগেছে।